বিভীষিকাময় রাতের অভিজ্ঞতা কাটিয়ে উঠছেন বলিউড তারকা সাইফ আলী খান এবং তাঁর পরিবার। ১৬ জানুয়ারি সাইফ এবং তার স্ত্রী কারিনা কাপুর খানের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে একটি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই রাতে এক দুষ্কৃতি অজ্ঞাতভাবে সাইফ-কারিনার ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘরে ঢুকে পড়ে, এবং জাহাঙ্গীরকে রক্ষা করতে গিয়ে সাইফ মারাত্মকভাবে আহত হন। আততায়ীর ছুরির আঘাতে সাইফ আহত হন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুদিন পর সাইফ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান। পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার বিষয়ে দাবি করা হচ্ছে যে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক।
সাইফ এই ভয়াবহ রাতের বর্ণনা দিয়ে জানান যে, ঘটনার সময় কারিনা বাইরে ছিলেন এবং বাড়িতে ফিরেই তারা জানেন যে জাহাঙ্গীরের ঘরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ঢুকে পড়েছে। আততায়ীর হামলার পর সাইফ রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতাল গিয়ে ভর্তি হন, যেখানে তার ছয়টি জায়গায় ছুরির আঘাত হয়েছিল। সাইফ জানান, তৈমুর তখন তার পাশে ছিল এবং তাকে সাহস জোগাচ্ছিল। তিনি আরও জানান যে, কারিনা এই ঘটনায় অত্যন্ত ভীত ছিলেন এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিশেহারা ছিলেন।
এছাড়া, সাইফ হামলাকারীকে ক্ষমা করার বিষয়টি নিয়ে বলেন, "তৈমুর মনে করে যে হামলাকারী ক্ষুধার্ত ছিল, এবং সে তাকে ক্ষমা করতে চায়।" সাইফ নিজেও মনে করেছেন যে হামলাকারীর জন্য খারাপ লাগছে, কিন্তু তার আচরণ ছিল উন্মত্ত। তবে সাইফ বলেন, পুলিশ তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং মুম্বাই শহরে তিনি এখনো নিরাপদ অনুভব করেন।
অন্যদিকে, সাইফের মা শর্মিলা ঠাকুর হাসপাতালে এসে তাকে সান্ত্বনা দেন এবং একটি ঘুম পাড়ানিয়া গান গেয়ে শোনান, যা সাইফের জন্য এক বিশেষ মুহূর্ত হয়ে থাকে। সাইফ জানান, তার বাচ্চারা এখন ভালো আছে এবং জাহাঙ্গীর তার সাম্প্রতিক হামলার অভিজ্ঞতা নিয়ে সাহসী হয়ে উঠেছে।